অধিক দুধ উত্পাদনকারী গাভীর দৈহিক আকার যেমন বড় হয় তেমনি বড় হয় তার ওলানও. এসব গাভী যত্নসহকারে পরিচর্যা করতে হয়. বড় ওলান নিয়ে গাভীর চলাফেরা ঝুঁকিপূর্ণ. যেকোনো সময় ওলানে আঘাত লেগে ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে. এতে বিভিন্ন রোগ – জীবাণু বাসা বেধে ম্যাসটাইটিস হতে পারে. এ ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পেতে এসব গাভী অন্যান্য গরু থেকে আলাদা করে পালন করা হয়. এত সতর্কতার পরও উঠা – বসার সময় শেডের কনক্রিটের মেঝেতে ঘষা লেগে ওলানে ক্ষত সৃষ্টি হয়. আর তাতে গোবর বা চোনা লেগে রোগ – জীবাণুর আক্রমণে গাভী অসুস্থ হয়। ওলানে সমস্যা দেখা দিলে দুধ উত্পাদন হ্রাস পায়। ম্যাসটাইটিস মারাত্মক আকার ধারণ করলে কখনো কখনো ওলানের এক বা একাধিক বাঁট কেটে ফেলতে হয়. তখন দুধ উত্পাদন অর্ধেকের নিচে নেমে আসে। ওলানে আঘাতজনিত সমস্যা এড়াতে কনক্রিটের পরিবর্তে বালির মেঝে অধিক স্বাস্থ্যসম্মত বলে অভিমত দিয়েছে ডেয়রি বিজ্ঞানীরা. এই বালির মেঝে তৈরি করতে হবে বিশেষ প্রক্রিয়ায়. প্রায় দেড় মিটার সমপরিমাণ গভীর করে মাটি শেডের মেঝে থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে. এরপর কমপক্ষে দু ‘স্তরে বড় বড় টায়ার বসাতে হবে. টায়ারের উপর বিছিয়ে দিতে হবে পরিষ্কার বালু. বালু অবশ্যই কাঁকর، ইটের টুকরা، লোহার টুকরা বা অন্যান্য যেকোনো ধারালো বস্তুমুক্ত হতে হবে. রোগের সংক্রমণমুক্ত এলাকা থেকে এই বালু সংগ্রহ করতে হবে. বালির মেঝে নরম হওয়ায় গাভী উঠে দাঁড়ানো কিংবা বসার সময় কোনো ধরনের আঘাত পাবে না. ওলানের আঘাতজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা পাবে. এ মেঝের সুবিধাজনক দিক হচ্ছে গাভীর চোনা সহজেই ঝুরঝুরে বালিতে পড়ে শুকিয়ে যাওয়া. তবে বালি যেন ভেজা না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে. এ জন্য দিনে কমপক্ষে দু ‘বার গোবর পরিষ্কার করে ফেলতে হবে. সব বালি সপ্তাহে কমপক্ষে তিনদিন উলোট পালোট করে দিতে হবে. উপরের বালি নিচে এবং নিচের বালি উপরে উঠে এলে রোগ – জীবাণু বংশবৃদ্ধি করতে পারবে না، রোগ বাসা বাধার সুযোগ পাবে না. ছয় মাস অন্তর অন্তর শেডের পুরানো বালি ফেলে দিয়ে নতুন বালি দিতে হবে
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস