মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছেন একুশে পদক প্রাপ্ত ব্যাক্তি পন্ডিত রামকানাত মত অনেক প্রখ্যাত ও জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিগণ। তাদের নামের তালিকা শীঘ্রই এই পাতায় আপডেট করা হবে।
নুরুল আমিন পূর্ব বাংলায় মুহাম্মদ আলি জিন্নাহর বিশ্বস্ত সহকারী হয়ে উঠেন। তিনি ব্রিটিশ ভারতে বাংলার মুসলিমদের অধিকারের পক্ষে লড়াই করেন।[৪]পাকিস্তান আন্দোলনে নুরুল আমিন সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এসময় তিনি বাংলার মুসলিমদের সংগঠিত করেন এবং মুসলিম লীগকে শক্তিশালী করার কাজ চালিয়ে যান।[৪]
১৯৪৬ সালে মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ বাংলায় সফরে আসেন। এসময় নুরুল আমিন তার সাথে ছিলেন। তিনি পূর্ব বাংলায় তিনি মুসলিম ঐক্য জোরদার করার সপক্ষে কাজ করেছেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার সময় নুরুল আমিন ছিলেন পাকিস্তান আন্দোলনের পৃষ্ঠপোষকতাকারীদের অন্যতম।[৪]
জিন্নাহ তাকে পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ করেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খান ও গভর্নর জেনারেল খাজা নাজিমুদ্দিনের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। লিয়াকত আলি খানের হত্যাকান্ডের পর নুরুল আমিনকে সরবরাহ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন।
জিন্নাহর মৃত্যুর পর নুরুল আমিন পরবর্তী গভর্নর জেনেরাল খাজা নাজিমুদ্দিন কর্তৃক পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী মনোনীত হন।[৫] তিনি কয়েক সপ্তাহ এই পদে ছিলেন।[৫]
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনের ফলে মুসলিম লীগ পূর্ব পাকিস্তানে জনপ্রিয়তা হারায়। খাজা নাজিমুদ্দিন ও নুরুল আমিন উভয়েই পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হন। নুরুল আমিন কমিউনিস্ট পার্টিকে এর জন্য দায়ী করেন এবং ভাষা আন্দোলনে উস্কানির জন্য তাদের দোষারোপ করেন। নাজিমুদ্দিন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মুসলিম লীগের ভেতর থেকে সমস্যা সৃষ্টি হয়। তিনি নুরুল আমিনের বিরোধিতা করেন। নুরুল আমিনের মত ছিল যে পাকিস্তানের অস্তিত্ব মুসলিম লীগের শক্তিশালী হওয়ার উপর নির্ভরশীল কিন্তু নাজিমুদ্দিন তা বুঝতে পারছেন না।
পূর্ব পাকিস্তানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ার পর নুরুল আমিন সামরিক পুলিশকে সহায়তার জন্য ডেকে পাঠান।[৬] এসকল উত্তেজনাকর অবস্থার সময় পূর্ব পাকিস্তানে পুলিশের গুলিতে মিছিলে থাকা কয়েকজন নিহত হলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের নেতৃস্থানীয় রাজনীতিবিদরা নুরুল আমিনের পদত্যাগ দাবি করে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস